গ্রাম বাংলার আবহমানকাল থেকে চলে আসা অন্যতম একটি শৈল্পিক বিনোদনের মাধ্যম হলো যাত্রাপালা.. যদিও কালের গহবরে তা আজ ধ্বংসের সম্মুখীন।
একটা সময় এদেশের গ্রাম বাংলার মানুষের বিনোদনের প্রধান উৎস ছিল যাত্রাপালা.. বিশেষ করে শীতকালে গ্রামে গ্রামে যাত্রাপালার আয়োজন করা হত। মানুষ কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে কাঁপতে কাঁপতে কম্বল মুড়ি দিয়ে সারারাত্র যাত্রাপালা উপভোগ করত।
সেই হারিয়ে যাওয়া শিল্পকে পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী মহোদয় একেধারে কাজ করে চলছেন, যাত্রাদলগুলোকে নিবন্ধনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করে চলেছেন। যাত্রা শিল্পের নবযাত্রায় সারা বাংলাদেশের ১০০ টি যাত্রা দলকে নিয়ে ৬৪ জেলায় আয়োজন করেছেন যাত্রা উৎসব।
তারই ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার ৪টি দল মঞ্চায়ন করছে যাত্রা পালা।
গত ২৯,৩০ মার্চ মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্র মঞ্চায়ন হয়েছে সুরমা অপেরা ও বনশ্রী অপেরার যাত্রাপাল আলোমতি ও বীরের জননী এআল এবং খোয়াই অপেরা ও নবজাগরণ নাট্যসংস্থার যাত্রা গুনাইবিবি ও রূপবান । বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে হল ভর্তি দর্শকের করতালিতে মুখরিত হলো মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্র। উপস্থিত সকল শ্রেণির মানুষ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এ উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস